
|| সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা ||
রমজান মাসে কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও ঈদ শেষে সবজির বাজারে হঠাৎ আগুন লেগেছে। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে উপজেলার বাজারগুলোতে ৫০ টাকার নিচে সবজি মিলছে না। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ক্রেতারা। অনেককেই বিক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়াতে দেখা যায়।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার চান্দাইকোনা, সলঙ্গা, ভূঁইয়াগাতি, নিমগাছী ও রায়গঞ্জ পৌরসভার ধানগড়াসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, কাঁকরোল ৬৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, সজনা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, আদা ১৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পিঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টেরশ ৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, ক্ষীরা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছ ও মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে ঈদের আগে মাংসের দাম কোন কোন এলাকায় কিছুটা বেড়েছিল। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা, রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি টেংরা ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, টাকি ৩৫০ টাকা, ষোল ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা ও নানা ধরনের ছোট মাছ ৩০০ থেকে হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১০৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, সোনালী ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, লিয়ার ৩২০ টাকা, হাঁস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ও বয়লা।