
|| ড. গোলাম মোস্তফা | সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ||
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে রাস্তা না থাকায় লাশ বের করা গেল না খাটিয়ায়। অবশেষে কাফনে জড়ানো লাশ বের করা হলো কাঁধে করে। এমন দৃশ্য দেখা মেলে রায়গঞ্জ পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ড এর রনতিথা এলাকায়। মৃত মজিবর রহমানের ছেলে সামান তালুকদারের মরদেহ তার বাড়ি থেকে কবরস্থানে বহনকালে এই দৃশ্য দেখা যায়।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সামান তালুকদার অসুস্থ্য জনিত কারনে মৃত্যুর পর দাফনের জন্য যখন ঘর থেকে বাহির করবে তখনই বাধে বিপত্তি। একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছে তারই জ্ঞাতি ভাই মরহুম মনির হোসেন তালুকদারের গং, অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিবাদমান জমির বিরোধ থাকায় একমাত্র চলাচলের রাস্তাটিও দোকানপাট তুলে সংকুচিত করে ফেলেছেন তারা। ফলে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘর থেকে বের হওয়ার জটিলতা নিয়েই চলাচল করতো। এ অবস্থায় খাটিয়া থেকে মৃতদেহ নামিয়ে হাতে ধরে ছোট্ট গলি দিয়ে কোনমতে বের করা হয় লাশটি।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকানপাট। আর যাতায়াতের জন্য রাখা হয়েছে ছোট্ট গলি। যেখানে একজন মানুষ চলাচল করতে পারবেন। এক সাথে দুজন মানুষ চলাচল কোনমতেই সম্ভব নয়। আমাদের আজ স্বজন মারা গেছে। আমরা আমাদের স্বজনকে ভালভাবে খাটিয়ায় বাড়ি থেকে বের করতে পারি নাই বলে আবেগ আপ্লুত হন নিহতের স্বজনেরা।
চরম স্পর্শকাতর বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলাচলের রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনের দারস্থ হলেও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সঠিক সমাধান পাননি। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, রাস্তা নির্মাণের জন্য ভুক্তভোগী পরিবারদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলে জানান। তবে ভুক্তভোগীরা বলেন, সেখানে তাদের কোন অংশ নেই। বরং তারা রাস্তা না দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ খাদিজা খাতুন বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কেউ কারও প্রতি অন্যায় জুলুম করার কোনো সুযোগ নেই।