সোমবার, ডিসেম্বর ২২

রাজশাহীতে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে স্থবির নগরজীবন

|| অপু দাস | জেলা প্রতিনিধি (রাজশাহী) ||

উত্তরের কুয়াশা ও শীতল বাতাসে রাজশাহীর সকালগুলো এবার আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত সূর্য উদয় না হওয়ায় নগরজীবনে বিরল স্থবিরতা নেমে এসেছে। রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও দেরিতে খুলেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশ ছিল। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উত্তরের শীতল বাতাস বইতে শুরু করে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা রাতের পর শনিবার সকালে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। এর ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে গেছে, যা সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষদের।

নগরীর বুধপাড়া এলাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, “ভোরে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও ঠান্ডার কারণে দেরি করতে হয়েছে। গ্লাভস ছাড়া ঠান্ডায় কাজ করা সত্যিই কষ্টকর।”

স্কুলছাত্রী মাফিন জানান, “স্কুল বন্ধ থাকলেও কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার শীত আরও তীব্র, সকালে বাইরে বের হওয়া কঠিন।”

বুধপাড়া রেল বস্তিতে শীতের প্রকোপ আরও স্পষ্ট। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত মানুষ খড়কুটো ও কাঠ জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছেন। কেউ চায়ের কাপে হাত গরম করছেন, কেউ পুরোনো কম্বল জড়িয়ে বসে আছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজিব খান বলেন, “শুক্রবারের তুলনায় শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। উত্তরের হিমেল বাতাস আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে, ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *