শুক্রবার, নভেম্বর ১৪

রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে অছাত্র ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দখলে ব্রাকসু

|| বেরোবি প্রতিনিধি ||

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) আটকে গেলো রাজনীতির বেড়াজালে।বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসন বিভিন্ন সময় তাদের সাথে একান্ত আলাপসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে৷

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্রিয়াশীল সংগঠন থাকলেও কাউকেই ডাকা হয় না৷

রবিবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, শিবির, বাম ও কয়েকজন সমন্বয়ক নিয়ে মতামত সভার আয়োজন কর করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এসময় সভায় একে ওপরের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে নির্বাচন কমিশন হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে সভা ত্যাগ করেন।

এসময় তিনি বলেন, আগামী ৫/৭ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট করে নতুন কমিশন দেন। নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

এসময় নির্বাচন কমিশনারের সাথে উপাচার্যও সভা ত্যাগ করেন। এভাবে রাজনীতির বলি হলো ব্রাকসু।

এদিকে একাধিক ক্রিয়াশীল সংগঠনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেও কিভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে হবে।

এদিকে সভায় কোনো সাংবাদিক বা কোনো সাংবাদিক সংগঠনকেও ডাকা হয় না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্যাম্পাসের সাংবাদিক নেতারাও।

গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কেনো রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়েছে। কোনো দলকে নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেনো আসে না। এদিকে প্রতিবেদক নিজেই বলেন আমি জানি না যে সভা ছিল সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী কিভাবে জানবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এইটা তো ছাত্র উপদেষ্টা জানে। তাকেই জিজ্ঞেস করো।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, এখন একজন অছাত্র না ডাকলেও যদি আসে এখন আমরা তাদের বের করে দিতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলো অবশ্যই এসব সভায় মতামত রাখার দাবিদার। পরবর্তীতে আর এমন হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *