
|| শাকিবুল হাসান | রাবি প্রতিনিধি ||
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হল বাতিল করে একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো_সাইবার বুলিং রোধে একটি কার্যকর সেল গঠন করতে হবে এবং ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক গ্রুপসহ অনলাইনে অপপ্রচার চালানো বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ বন্ধ করতে হবে; গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলা ও বিভিন্ন ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’ জড়িতদের ভোটাধিকার বাতিল করতে হবে এবং ছবিসহ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে লাশ বের হবে তবুও অনশন ভাঙবেন না উল্লেখ করে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, ‘আমরা সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যেক শিক্ষার্থী একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রাহ্য না করে নিজেদের মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, হল থেকে ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর করে একাডেমিক ভবনে নিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দাবি আদায় হবে গণ-অনশন চলবে। প্রয়োজনে এই ক্যাম্পাস থেকে আমাদের লাশ বের হবে কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠব না।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আজকে আমরা তিন দফা দাবি নিয়ে এখানে বসেছি। এর আগেও আমরা রাকসুর অংশীজনরা নানাভাবে দাবি জানিয়ে আসছি ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের পরিবর্ততে একাডেমিক ভবনে করা হোক। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম প্রায় সকল অংশীজনের জোরালো আপত্তি সত্ত্বেও তারা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। এর প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।’
অনশনে বসা অন্যান্য নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভ, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) কোষাধ্যক্ষ কাইসার আহমেদ, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজিদ শিশির অভি প্রমুখ।