শনিবার, আগস্ট ২৩

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ‘মৌসুমি ফল উৎসব’

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||

বাঙ্গালীর হাজার বছরের কৃষ্টির অন্যতম উপাদান হলো খাদ্যাভ্যাস। এই খাদ্যাভ্যাসের প্রধান উপকরণ হলো সুজলা, সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলাদেশের প্রকৃতির অপার সৃষ্টি। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আমাদের প্রধানতম খাদ্যশস্য ধান,শাক,সবজি ও ফলমূল ও। সারা বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে যখন ফসল ঘরে উঠে,তখন বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় উৎসবের প্লাবন।

পরম করুণাময়ের অপার মহিমায় আমাদের দেশে যে সব ফল উৎপন্ন হয়, তা স্বাদে,মানে, পুষ্টিতে বিশ্বসেরা। এই দেশীয় ফলগুলোর অধিকাংশই ফলে জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে। এই সময়ে উৎপন্ন দেশীয় ফল যথা, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, লটকন ও কিছু বিলুপ্তপ্রায় ফল নিয়ে ঢাকার প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় ২৬ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ শুরু হচ্ছে “ফ্রুট ফেস্টিভ্যাল”।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আজ সকাল ১১টায় দুইদিনব্যাপী ‘মৌসুমি ফল উৎসব’-এর শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মান্নান চৌধুরী। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠা এই আয়োজনে সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে আম, জাম, লিচু,কাউ, কাঁঠাল, লটকনসহ নানান দেশীয় রসালো ফলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. আনোয়ারুল কবির। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর এ.এইচ.এম ফারুক, রেজিস্ট্রার মো: সাকির হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম, স্কুল অব বিজনেস এর ডিন প্রফেসর আবুল কালাম, স্কুল অব ল’র ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম,স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড অ্যাডমিনের পরিচালক মিসেস আফরোজা হেলেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: জাহেদুর রহমান, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর প্রধানগন, এডমিশন এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ও হেড জাহিদ হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ দেশীয় ফলের স্বাদ ও পুষ্টি শিক্ষার্থীসহ সকল অংশীজনের মধ্যে বিতরণের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন ও কর্মীদের বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তারা ভবিষ্যতেও এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের শিকড়ের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে সদা সংযুক্ত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *