বুধবার, মার্চ ১২

পোশাক রপ্তানিতে আমেরিকা ও ইইউর বাজারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

|| নিউজ ডেস্ক ||

বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ৬৯ শতাংশই যায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এসে বাজার দুটিতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তাতে দেশের তৈরি পোশাক খাত অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

গত বছরের শেষ চার মাস- সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরে আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে রপ্তানি করেছে ৫৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। যদিও গত নভেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছিল ৪১ শতাংশ।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলসের (অটেক্সা) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় তৈরি পোশাক রপ্তানি গত সেপ্টেম্বরে ১৮ শতাংশ, অক্টোবরে ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ ও নভেম্বরে ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। এভাবেই এক বছরের ব্যবধানে তৈরি পোশাকের বড় বাজার আমেরিকায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, দেশ থেকে চলতি ২০২৪-’২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস- জুলাই-ডিসেম্বরে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।

সার্বিকভাবে ২০২৪ সালে অবশ্য তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়নি। তবে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। সব মিলিয়ে গত বছর বাংলাদেশ থেকে ৭৩৪ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা এর আগের ২০২৩ সালের তুলনায় দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ওই বছর রপ্তানি ২৫ শতাংশ কমে ৭২৯ কোটি ডলারে নেমেছিল।

আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাজারটি নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা।

তারা বলছেন, চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এ কারণে আমেরিকার ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরাবে। ফলে বাংলাদেশের সামনে বাড়তি ক্রয়াদেশ বা অর্ডার পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এমনকি বিনিয়োগকারীরা চীন থেকে কারখানা সরিয়ে এখন অন্য দেশে নিতে আগ্রহী হতে পারেন। সেই বিনিয়োগ বাংলাদেশেও নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *