
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনার ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে যুবদল নেতা এস এম শামীমকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বৃষ্টি স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর শারীরিক নির্যাতনের কারণে ক্ষোভ থেকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মামাতো ভাই ওবায়দুল্লাহকে সহযোগিতায় ডেকে আনে।
হত্যাকাণ্ডের দিন রাতের খাবারের পর তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে শামীমকে নিয়ে যায় বৃষ্টি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে আসে ওবায়দুল্লাহ। বৃষ্টির ইশারায় সে ছুরি দিয়ে শামীমের ঘাড়ে কোপ দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবদল নেতা শামীমের। এরপর হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি পাশের জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যার পর বৃষ্টি ও তার ভাই স্বাভাবিক আচরণ করতে শামীমের মায়ের সঙ্গে কথাও বলেন। প্রথমে ঘটনাটি ক্লুলেস থাকলেও চৌকশ টিমের তদন্তে মূল রহস্য উদঘাটন হয়। বৃষ্টিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে সে স্বীকারোক্তি দেয়। বয়স কম হওয়ায় মামাতো ভাই ওবায়দুল্লাহকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল এলাকার তিনতলায় নিজ বাড়িতে খুন হন যুবদল নেতা এস এম শামীম। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহত শামীম সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
হত্যার পর রবিবার বিকেলে নিহতের মা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রশিদা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় মামলা করেন। তদন্তে প্রথমদিকে মাদকসংশ্লিষ্টতা, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক লেনদেন ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হলেও পরবর্তীতে পারিবারিক কলহকেই হত্যার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ।