
|| সেলিম হোসেন মায়া | খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ||
পার্বত্য খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রুপসেন পাড়া ও বিটিলা এলাকা দিয়ে বিএসএফ ৩০ গুজরাটিকে পুশ ইন করে। বিজিবি টহলদলের নজরে আসলে, তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) জানা যায়, বুধবার (৭ মে) মধ্য রাতের যেকোন সময় গুজরাটের ৩০ বাসিন্দাকে বিএসএফ সীমান্তে রেখে যায়। রুপসেন পাড়া ও বিটিলা বিজিবি বিওপি তাদের আটক করে। রাত সাড়ে আটটায় বিজিবি ও পুলিশ হেফাজতে লোগাং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেয়া হয়।

সরেজমিনে কথা বলে জানা যায়, উদ্ধারকৃত সকলেই বাংলাদেশের নড়াইল বাসিন্দা দাবি করছেন। কাজের জন্য ২৫-৩০ বছর আগে অবৈধভাবে সীমন্ত পার হয়ে ভারতের গুজরাট শহরে অবস্থান করছিলো। গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গুজরাটের একটি জেলে আটকে রাখে এবং পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে তারা জানায়।
তারা আরো জানান, গুজরাট হতে দুটি বিমান যোগে আনুমানিক ৪৫০ জনকে প্রথমে ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে আসা হয় এবং ছয় ঘন্টার অধিক সময় বাসে করে সীমান্তে আনা হয়েছে। এরপর পরিকল্পনা মাফিক পর্যায়ক্রমে তদেরকে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশ ইন করানো হচ্ছে।
পানছড়ি থানার এসআই সুকান্ত সাহা জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশ পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
পানছড়ি ব্যটালিয়ন ৩ বিজিবি সুত্র জানায়, সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারীসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নিমিত্তে বিজিবি নিয়োজিত রয়েছে।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফারহানা নাসরিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, পানছড়ির দূর্গম সীমান্তে বিএসএফের পুশ করা ৩০ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে প্রাথমিক ভাবে লোগাং বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। লোগাং ইউপির তত্বাবধানে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দ্বারা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে যা নির্দেশনা আসে সেভাবে যাচাই বাছাই করে তাদের ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য একই দিনে জেলার মাটিরাঙ্গার গোমতীর শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন, আচালং এলাকায় ২৩ জন, এবং রামগড় সীমান্ত দিয়ে ১জন সহ মোট ৮১ জনকে পুশ ইন করার খবর পাওয়া গিয়েছে।