মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৪

নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ভারী বৃষ্টি ও ফেনীর মহুরী নদী বাঁধ ভেঙে নেমে আসা পানিতে ভেসে গেছে নোয়াখালীর বেশিরভাগ এলাকা। টানা বৃষ্টিতে বন্যার অবনতি হয়েছে। এতে অনেকগুলো গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে ভেসে যাওয়া সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় আগের চেয়ে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। সকাল থেকে ভারী বর্ষণ ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল।

কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা যায়, মানুষজন খুবই মানবেতর অবস্থায় জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন উপজেলায় জামায়াত-বিএনপি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ ছাড়াও ছাত্রশিবির নোয়াখালী শহর থেকে হেল্প লাইন খুলে বন্যার্তদের জন্য সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।

এ দিকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন জানান, জেলায় সাড়ে ৭ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ৭৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে। ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বেগমগঞ্জের একটি উপকেন্দ্রে পানি উঠে গেছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, নোয়াখালীর নয়টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলা বন্যা হয়েছে। এসব উপজেলায় ইতোমধ্যে ৩৮৮ আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৪০ হাজার বন্যাকবলিত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। জেলায় ২০ লাখ এর বেশি মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আমরা শুকনো খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের উপজেলার কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছে। স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *