বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৯

নাগেশ্বরীতে নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশীর সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

|| ‎মোঃ রফিকুল ইসলাম | নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ||

‎কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ৮ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‎পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক মমিনুল ইসলাম (২২) বলাৎকারের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ফেলে রাখে। ঘটনার পর থেকে মমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।

‎শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম মুরসালিন (৮)। তিনি স্থানীয় মশিউর রহমান মুছা ও মন্জু দম্পতির ছোট ছেলে।

‎ঘটনার দিন শুক্রবার দুপুরে মুরসালিনের বড় ভাইয়ের বিয়ের আলোচনা চলছিল। এসময় মমিনুল শিশুটিকে একাধিকবার ডেকে নেয়। পরে কৌশলে নিজের ঘরে নিয়ে মোবাইলে ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে বলাৎকার শেষে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত  মুরসালিন বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। মমিনুলের বাড়িতে গিয়ে মুরসালিনের খোজ জানতে চাইলে মমিনুলের পরিবার শিশুর অবস্থান অস্বীকার করলে সন্দেহ বাড়তে থাকে।

‎পরদিন শনিবার খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে মমিনুলের বাড়ির পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

‎মরদেহ উদ্ধারের পর এলাকার উত্তেজিত জনতা মমিনুলের বাড়ি ও তার নানার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও সবকিছু পুড়ে যায়।
‎পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মমিনুলের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন, প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত মমিনুল, তার বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ ও শ্যালক মাসুম মিয়া এখনো পলাতক।

‎নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রামে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশি  অভিযান অব্যহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *