
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতভর চালানো এই হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ৩২ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এই আক্রমণকে শান্তি প্রক্রিয়ার আগে ইউক্রেনের ওপর বড় ধরনের সামরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। খবর: আল জাজিরার।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলা এই হামলায় অন্তত ৫০০টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে মস্কো। কিয়েভের পাশাপাশি দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামো ও বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই আক্রমণ চালানো হয়। এতে জ্বালানি ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে কিয়েভ ও আশপাশের এলাকার প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক ভবনের হিটিং সিস্টেম বা উষ্ণায়ন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করতেই এই ‘নির্ভুল’ হামলা চালানো হয়েছে।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, শান্তি আলোচনার প্রাক্কালে কিয়েভে এ ধরনের আক্রমণই প্রমাণ করে যে মস্কো আসলে যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় না। তিনি আরও বলেন, পুতিন প্রশাসন আলোচনার টেবিলে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করলেও বাস্তবে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমেই তাদের প্রকৃত ইচ্ছা প্রকাশ করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার-আ-লাগো রিসোর্টে দুই নেতার এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
