
|| আন্তর্জাতিক ডেস্ক ||
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক শেষে উভয় নেতাই দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চুক্তির পথে বড় ধরনের অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর : আল জাজিরার।
ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত প্রায় দুই ঘণ্টার এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অত্যন্ত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে উভয় পক্ষই এখন ‘আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছাকাছি’ অবস্থানে রয়েছে। ট্রাম্পের মতে, শান্তি চুক্তির খসড়া প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও এই সংঘাতের অবসান চান বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এই আলোচনার ফলাফলকে ইতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জানান, প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার বেশিরভাগ বিষয়েই ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জেলেনস্কি বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা গ্যারান্টি এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের জন্য ‘প্রসপারিটি প্ল্যান’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
জেলেনস্কি আরও উল্লেখ করেন, মার্কিন ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিরলস কাজ করার ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
তবে এতো অগ্রগতির মাঝেও কিছু জটিল ইস্যু এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ভূখণ্ডগত বিরোধ এবং ডনবাস অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু ‘কঠিন’ ও ‘জটিল’ প্রশ্নের সমাধান এখনও বাকি। ইউক্রেন দনবাসের অধিকৃত অংশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থাকলেও, মস্কোর অবস্থান এ বিষয়ে ভিন্ন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকটি যুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। তবে চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং বিতর্কিত অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষকে আরও কিছু কঠিন সমঝোতায় আসতে হবে। নতুন বছরের আগেই বড় কোনো ঘোষণার প্রত্যাশা করছেন উভয় নেতার সমর্থকরা।
