শুক্রবার, নভেম্বর ১৪

খুলনার রূপসা ঘাটে ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ মিঠু, রাতভর অভিযানেও সন্ধান মেলেনি

|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||

রূপসা ঘাটে ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন খুলনার সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এডমিন অফিসার মহিদুল হক মিঠু (৪০)। রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়েও সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান মেলেনি।

নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নৌ পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

নিখোঁজ মিঠু রূপসা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের মৃত মাহমুদুল ইসলামের ছেলে। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে অফিস শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রূপসা ঘাট পার হওয়ার সময় পশ্চিম প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রলারে ওঠেন মিঠুসহ কয়েকজন যাত্রী।

চোখে দেখা সাক্ষীদের বরাতে জানা গেছে, পূর্ব প্রান্তে ট্রলারটি ভেড়ানোর সময় মাঝি অতিরিক্ত গতি নিয়ে আকস্মিকভাবে মোড় নেন। এতে ভারসাম্য হারিয়ে কয়েকজন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও মহিদুল হক মিঠু তলিয়ে যান এবং আর দেখা যায়নি।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ব রূপসা বাস স্ট্যান্ড ফাঁড়ি পুলিশ, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা রাতভর তল্লাশি অভিযান চালান। সোমবার সকাল ৭টা থেকে খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল যুক্ত হয় অভিযানে।

খুলনা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরি দল সকাল থেকে রূপসা নদীর বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

নৌ পুলিশ রূপসা ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন, “নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে আমরা রূপসা ব্রিজ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড এবং স্থানীয় ডুবুরিরা একযোগে কাজ করছে।”

তিনি আরও বলেন, “রাত হলে বাড়তি ভাড়ার আশায় অনেক ট্রলার মাঝি অতিরিক্ত যাত্রী তোলেন। ফলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ট্রলার মাঝি পলাতক রয়েছে।”

এদিকে মিঠুর নিখোঁজের খবরে তার পরিবার ও স্বজনদের আহাজারিতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তল্লাশি অভিযান দেখতে রূপসা ঘাটের পূর্বপাড়ে সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমিয়েছে।

বিকেল পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *