
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের উদ্যোগে নগরীর ৮ থানায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোনাডাঙ্গা থানার সবুজবাগ মসজিদ চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতী আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন আমাদের প্রধান কর্মসূচি। কিন্তু বিদ্যমান পদ্ধতির নির্বাচনে আমরা ডামি ভোট ও রাতের ভোট দেখেছি। এই ব্যবস্থা হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট জন্ম দিয়েছে। আমরা এমন একটি পদ্ধতি চাই যেখানে ফ্যাসিবাদ আর জন্ম নেবে না। সেই পথ হলো পিআর পদ্ধতি।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন ছিল সরকারের অঙ্গীকার। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে হবে, নইলে বিপ্লবীদের ফাঁসির আশঙ্কা তৈরি হবে।”
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেলে অনুষ্ঠিত সোনাডাঙ্গা থানার বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন থানা সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বাবুল এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মো. কবির হোসেন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন।
একই দাবিতে নগরীর অন্যান্য থানাতেও পৃথক কর্মসূচি হয়। সদর থানার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব আবু তাহের, দৌলতপুর থানায় সভাপতিত্ব করেন মো. সরোয়ার হোসেন বন্দ, খালিশপুর থানায় সভাপতিত্ব করেন হাফেজ আব্দুল লতিফ, খানজাহানআলী থানায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, আড়ংঘাটা থানায় সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, হরিণটানা থানায় সভাপতিত্ব করেন মো. মনজুরুল ইসলাম এবং লবণচরা থানায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা নাসিম উদ্দিন।
প্রতিটি সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন দিতে হবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। একইসাথে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার করে কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।