
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে বিশেষ সেনা ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চরমপন্থী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং মাদক সিন্ডিকেটকে ধরতে এ ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
৫ আগস্টের পর দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চরমপন্থীরা। খুন-খারাবি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাদক ব্যবসা এবং অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সন্ধ্যার পর সাধারণ মানুষ আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
গত ১৫ মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরে অন্তত ৯৪টি হত্যাকাণ্ডের তথ্য পাওয়া গেছে, যার অর্ধেকের বেশি ঘটেছে মাদক সিন্ডিকেটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। এ অবস্থায় সরকার বিব্রত হয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের।
ইতোমধ্যে খুলনায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পের অবস্থান হিসেবে মহাসড়ক-সংলগ্ন জায়গাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে রূপসা টোল প্লাজার পাশের এলাকা সম্ভাব্য স্থানের তালিকায় রয়েছে। শিগগিরই শতাধিক সদস্য নিয়ে ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
প্রথম ধাপে কিশোর গ্যাংগুলোকে শনাক্ত করে তাদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি মাদক সিন্ডিকেট, নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এবং জনযুদ্ধ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করবে সেনা সদস্যরা। যদিও এসব সংগঠনের সদস্যরা নানা নামে নতুন গ্রুপ গড়ে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনের পূর্বে ক্যাম্পে আরও সেনা সদস্য বাড়ানো হবে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরাপদ রাখতে এবং খুলনার সামগ্রিক পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যেই সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগ।
