
|| শেখ শাহরিয়ার | জেলা প্রতিনিধি (খুলনা) ||
খুলনায় ছিনতাইকারী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে এক ছিনতাইকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার দিবাগত গভীর রাতে (২৯ সেপ্টেম্বর) হাজী মালেক কলেজ এলাকায় ছিনতাই করার সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ দলের সদস্যরা তাকে ধরে ফেলে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি নগরীর লবণচরা থানা এলাকার চানমারি খ্রিস্টানপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মুন্না, যিনি বহুল পরিচিত ‘কাটিং মুন্না’ নামে। তিনি খুলনার কুখ্যাত ‘আশিক গ্রুপ’-এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত।
টুটপাড়া, চানমারি ও লবণচরা এলাকায় তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মালেক কলেজ এলাকায় মুন্না ছিনতাই করছিল। স্থানীয়রা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষ দলের লোকজন তাকে ধাওয়া করে ধরে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়। গুলির দুটি তার পায়ে লেগেছে।” তিনি আরও বলেন, বিষয়টি দুই অপরাধী গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে মুন্নাকে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়; পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি কে বা কারা গুলি চালিয়েছে—তদন্ত চলমান আছে।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা নগরবাসীর মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বলেন, “ছিনতাইকারীরাই একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি করতে পারছে—এতে পরিষ্কার যে নগরীর আইন-শৃঙ্খলা কতটা বিপজ্জনক পর্যায়ে।” তারা পুলিশকে শুধু ঘটনার পর ব্যবস্থা না নিয়ে, পূর্বপ্রস্তুতি ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আরও উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, অভিযোগ ও স্বাক্ষ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ ও এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য যাচাই করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।