
|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার (১২ জুলাই) অনুষ্ঠিত আন্তঃবিভাগ ফুটবল ম্যাচ কাভার করতে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের উপর একদল ছাত্র কর্তৃক হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া, ইবি শাখা। আজ রবিবার ছাত্র সংগঠনটির ইবি শাখার সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি এস এম শামীম এক যৌথ বিবৃতিতে
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে চরম নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ও ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।
তারা বলেন, সাংবাদিকেরা শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের চিন্তা, চেতনা ও ন্যায়ের পক্ষে কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে। সুতরাং তাদের উপর হামলা মানে সত্য ও ন্যায়ের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই যে, ক্যাম্পাসে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)-তে ফুটবল খেলা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ভিডিও করতে গেলে তিনজন ক্যাম্পাস সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা জানান, এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে কিল, ঘুষি ও লাথি মারা হয়। অভিযোগপত্রে তারা জানান, প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া হয়নি।
আহত সাংবাদিকরা হলেন আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ (দৈনিক আমাদের বার্তা), একই বিভাগের রবিউল আলম (দৈনিক আজকালের খবর) এবং সাংবাদিকতা বিভাগের নুর-এ-আলম (বার্তা২৪)।
অভিযুক্তরা হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ হাসান, সাব্বির, আফসানা পারভিন টিনা, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত, রিয়াজ মোর্শেদ, সৌরভ সোহাগ ও পান্না। এছাড়া ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অজিল, সাইফুল, রাকিব, মশিউর রহমান রিয়ন ও হৃদয়সহ আরও ২০-২৫ জন।