বুধবার, জুন ১৮

আন্দোলনের মুখে গুচ্ছে থাকতে ভিসিদের নির্দেশনা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

|| নিউজ ডেস্ক ||

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের মুখে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব শারমিনা নাসরিন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে গুচ্ছে থাকতে ভিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভিসিদের দেয়া নির্দেশনা চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০২০ সাল থেকে দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়। শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে এটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং একটি শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনঃপুন অনুরোধ অগ্রাহ্য করে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা শৃঙ্খলার অভাবে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একাধিক স্মারকলিপি জমা পড়েছে এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু প্রায় ৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর পক্ষে গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে। তারা মনে করেন, গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থ সাশ্রয়সহ শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক এবং মানসিক কষ্ট লাঘব হবে।’

গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে একমত প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে যে সকল অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে, তা দূর করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ পদ্ধতির আরও উন্নতি সাধন করা হবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *